সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে হকার নিয়ে পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান করলেও অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যাপারে স্থায়ীভাবে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে প্রায়শই জনদুর্ভোগের দৃশ্য চোখে পড়ছে। কখনো সড়কের একাংশে অবৈধ গাড়ি পার্কিং, কখনো ফুটপাতে অবৈধ গাড়ি পার্কিং আবার কখনো ফুটপাত দিয়ে যান চলাচলের মধ্য দিয়ে জনদুর্ভোগের কারণে পরিণত হচ্ছে। মাঝে মাঝে সড়কের অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ে পুলিশের হানা পড়লে ক্ষণিকের জন্য ফাঁকা হলেও হানা শেষ হলে আবারো পুরানো চিত্রে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (৩০ জুন) সকালে নগরীর মীর জুমলা সড়কে পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন থাকলেও অপর দিকে বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের দৃশ্য দেখা যায়। তবে ‘নো পার্কিং’ জোনের সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও তার তোয়াক্কা না করেই গাড়ির চালকেরা সেখানে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করছে। এ সময় শহরের বিভিন্নস্থানে অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে দুপুরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এদিকে যানজটের কারণে ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে করে সড়কের যানজটের পাশাপাশি ফুটপাতেও জটলা দেখা দেয়। এছাড়াও ক্ষণে ক্ষণে মোটরসাইকেল চলাচলের কারণে জনগণ বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
স্থানীয়দেরা বলছেন, ‘পুলিশের মাঝে মাঝে টহল আসলে কিছুটা ফাঁকা থাকলেও তারা চলে গেলে আবারো অবৈধ গাড়ি পার্কিং সহ যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড সড়কে ফিরে আসে। তাই হকার সমস্যার মত স্থায়ীভাবে এই সমস্যার সমাধান না করলে অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড ও গাড়ি পার্কিংয়ের মত দুর্ভোগ বার বার ফিরে আসবে।
এছাড়াও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক ব্যতিত প্রায় সকল সড়কেই হকার বসেছে। এতে করে ওইসব সড়কে প্রায়শই যানজট দৃশ্যমান হচ্ছে। আর দিন দিন ওই সব সড়কে হকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যেকারণে হকারদের ফুটপাত ও সড়ক দখলের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পথচারীরা বাধ্য হয়ে ফুটপাত ও সড়কের একাংশ বাদ দিয়ে অনেকটা সড়কের মধ্যখান দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়ে চলেছে।
নগরবাসী বলছেন, ‘নগর পরিকল্পনার অনেক অভাব রয়েছে। নগরের কোথায় কি কি স্থাপন করলে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে এ কথা না ভেবে জনপ্রতিনিধিরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আর প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিলেও তার কোন স্থায়ীত্ব কয়দিন থাকবে তাই নিয়েই প্রশ্ন বারংবার।